করোনা পরবর্তী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। যার ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও একধাপ পিছিয়ে পরে।
সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান বলেছেন, আমরা কলেজ খোলার অপেক্ষায় আছি। কলেজ চালু হলেই সকল স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। নতুন পরীক্ষার সূচিও দেওয়া হবে। একই দিনে একাধিক বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষা জট কমিয়ে ফেলার চিন্তা রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে যদি এইচ.এস.সি পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও একই পথেই হাঁটবে বলে তিনি জানান। ফলে এটাও পরীক্ষার জট কমানোর একটি উত্তম পথ বলে মনে করা হচ্ছে। এবং কলেজের পাঠদান বন্ধ থাকলেও পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো বলেন, যেহেতু এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীর চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বয়সে বড়। সুতরাং এইচ.এস.সি পরীক্ষা নেওয়া হলে সে আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে। তাছাড়া পরীক্ষার জট কমাতে ক্রাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একের পর এক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন বাড়িতে বসে পড়ালেখা করে। এজন্য যে, এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর আমরা একের পর এক পরীক্ষা দিতে থাকব। আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম করে ওভারকাম করেছি, সেই একই রকম মেথড এখানেও এপ্লাই করতে হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাস কোর্ ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষ, মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষা এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল এবং ডিগ্রী ২য় ও মাস্টার্স শেষ বর্ষের রুটিনও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এছাড়া আগস্ট পর্যন্ত মাস্টার্স প্রিলিমিনারি, অনার্স প্রথম বর্ষ পরীক্ষা হবারও কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে এই পরীক্ষার রুটিন করা যায়নি। অনার্স ৪র্থ বর্ষের তত্ত্বীয় পরীক্ষা অর্ধেক হবার পর বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে আটকে আছে অনার্স ৩য় বর্ষের ব্যবহারিক পরীক্ষাও। এছাড়া বিভিন্ন প্রফেসনাল কোর্সের শতাধিক পরীক্ষা আটকে আছে।