জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শর্ত সাপেক্ষে প্রমোশন (Promotion) সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্ত সাপেক্ষে ২য় বর্ষে Promotion সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় স্মারক: (০-৫) জাতী:বি:/পনি/অফিস আদেশ/২০১২/০৩/২৮৭, তারিখ: ১৬/০৬/২০২১ এ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্ত-চ এ উল্লিখিত “ পরীক্ষার্থীর অঙ্গীকারনামা জমা নিয়ে কলেজ কতৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র পূরণ করে ডাকযোগে/কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জমা দেয়ার সময়সীমা আগামি ২৭/০৭/২০২১ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।”
উল্লিখিত তারিখের মধ্যে প্রত্যয়ন পত্র পূরণ করে
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
অনার্স ১ম বর্ষ শাখা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
গাজীপুর-১৭০৪
এ ঠিকানায় প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও চিঠিতে উল্লেখ করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে স্বারক নং-০৪.০০.০০০০.৫১৪.১৬.০০১.২১.২০৩ এ উল্লিখিত সকল বিধি নিষেধ কঠোর ভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষ করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে অটোপাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, শিক্ষার্থীরা একই ক্লাসে বছরের পর বছর বসে থাকবে তা হয় না। তাতে তো কোনো লাভ নেই। তাদের বয়স বাড়বে আর একই শ্রেণিতে থাকবে এটার অবসান হওয়া দরকার।
একারণে অনার্স প্রথম বর্ষে যারা আছে তাদের শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।
ভিসি বলেন, ‘যারা করোনার আগে একটি টেস্ট পরীক্ষা দিয়েছে, এখন তাদের প্রমোশন দেয়া হচ্ছে। শর্ত হলো, করোনা পরস্থিতি যখন স্বাভাবিক হয়ে আসবে তখন সবাইকে সশরীরে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে।’ উপাচার্য জানান, করোনার মধ্যে তারা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বর্ষ এবং অনার্স মাস্টার্সেও একইভাবে অটোপাসের চিন্তা করছেন। আর এরমধ্যে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার গ্রহণযোগ্য এবং অনুমোদিত সফটওয়্যার এসে গেলে সমস্যা থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।