Technology

RAM এবং ROM কি? RAM ও ROM এর পার্থক্য গুলো কি?

র‍্যাম (RAM) কি?

RAM এর পূর্ণ রূপ হল “Random Access Memory”। বর্তমানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ,মোবাইল এবং স্মার্ট টিভিতে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এটি মূলত সংশ্লিষ্ট ডিভাইস এর মার্দারবোর্ড এর সাথে সংযুক্ত থাকে। RAM একটি টেম্পোরারি মেমোরি যার ফলে এর জমা হওয়া সমস্ত তথ্য এবং ইনস্ট্রাকশন গুলি যতক্ষণ কম্পিউটার চালু থাকে সেই সময় পর্যন্ত থাকে।

বিদ্যুৎ চলাচল বন্ধ হলে কিংবা অন্য কোনো কারণে কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে র‍্যামে থাকা ডেটা ও প্রোগ্রাম মুছে যায়। কম্পিউটার আবার চালু করলেও ঐসব তথ্য ফিরে পাওয়া যায় না। এজন্য র‍্যামকে কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরি বলা হয়। আর তাই কাজ করার সময় কিছুক্ষণ পর পর তথ্য বা ডেটা সেভ (Save) করতে হয়।

সাম্প্রতিক প্রকাশিত সকল চাকরির খবর

RAM মূলত আপনার কম্পিউটারের মূল। আপনার কম্পিউটারে সঠিক পরিমাণে RAM থাকলে আপনার পিসি (PC) -এর কর্মক্ষমতা এবং বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার সমর্থন করার ক্ষমতা নির্ভর করে। কম্পিউটারের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নির্ভর করে CPU এবং RAM একসাথে কতটা ভাল কাজ করে তা দ্বারা নির্ধারিত হয়। কম্পিউটারে CPU যত বেশি RAM অ্যাক্সেস করবে, তার কাজ তত সহজ হবে। যদি কম্পিউটারে পর্যাপ্ত পরিমাণ RAM না থাকে দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করা অনেক কঠিন হয়ে যায়, যা কম্পিউটারের পারফরম্যান্সকে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত করে।

RAM

র‍্যাম কিভাবে কাজ করে?

র‍্যাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেতে হলে আপনাকে র‍্যাম কিভাবে কাজ করে তার প্রসেসটা বুঝাতে হবে। চলুন উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা সম্পূর্ণ বুঝা যাক- মনে করুন আপনি টুলের উপর দুইটা পানির গ্লাস রাখলেন। এখন চাইলে সেখানে একটা মগ, একটা চামচ এবং দুইটা থাল কিংবা আরো কিছু জিনিস রাখতে পারবেন। কিন্তু একটা পর্যায়ে ওই টুলের উপর জিনিসপত্র রাখার মত আর কোন স্পেস বাকী থাকবে না। তখন যদি আপনি কিছু রাখতে চান, হয়তো আপনাকে কিছু জিনিস সরাতে হবে কিংবা ফোর্স করে রাখতে চাইলে কিছু জিনিস টুল থেকে পরে যাবে। কিন্ত আপনি যদি আপনার টুলকে বড় করেন কিংবা টুলের জায়গায় টেবিল ব্যবহার করেন তবে আপনি আরো বেশী জিনিস রাখতে পারবেন

RAM কত প্রকার ও কি কি?

র‍্যামের প্রধানত দুই প্রকার যেমন- স্ট্যাটিক র‍্যাম এবং ডাইনামিক র‍্যাম।

১। স্ট্যাটিক র‍্যাম: এই র‍্যামের ক্ষেত্রে, এক বিট তথ্য সংরক্ষন করা হয় ফ্লিপ-ফ্লপ অবস্থা ব্যবহার করে। এই ধরনের র‍্যাম উৎপাদন ব্যয়বহুল।

২। ডাইনামিক র‍্যাম: থেকে কম শক্তি এবং বেশি গতির হয়। আধুনিক কম্পিউটারে, ক্যাশ মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডাইনামিক র‍্যাম এক বিট তথ্য সংরক্ষন করে একজোড়া ট্রানজিস্টর এবং ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে, যেগুলো একসাথে একটি মেমোরি কোষ তৈরী করে। এই মেমোরি কম ব্যয়বহুল উৎপাদনের জন্য, ফলে এটি কম্পিউটারের র‍্যাম হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়।

স্ট্যাটিক এবং ডাইনামিক র‍্যাম উভয়ই বিদ্যুত চলে গেলে কিংবা কোন কারনে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে স্মৃতি মুছে যায়।

র‍্যামের আবিস্কার?

প্রথম র‍্যাম বাজারে আসে যেটা তৈরী হয়েছিল ১৯৫১ সালে এবং ১৯৬০ দশকে এবং ১৯৭০ দশকের প্রথমদিকে বিক্রি হয়েছিল।

রম (ROM) কি?

ROM এর পূর্নরুপ হলো Read Only Memory. এটি কম্পিউটারের একটি স্থায়ী মেমোরী। বর্তমানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ,মোবাইল এবং স্মার্ট টিভিতে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কম্পিউটার এর স্মৃতিতে কিছু প্রোগ্রাম এবং ডকুমেন্ট স্থায়ী ভাবে দেওয়া থাকে যা আমরা কোনভাবেই রিরাইট, ডিলিট বা অন্য কিছু করতে পারি না। এজন্য রমকে কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি বলা হয়।

বিঃ দ্রঃ বর্তমানে বাজারের অনেক স্থায়ী মেমোরি আছে যা আমরা Read and Write দুটোই করতে পারি।

রমের কাজ কি?

রমের মুল কাজই হচ্ছে স্মৃতি ধরে রাখা অর্থাৎ জমা রাখা। আপনার মোবাইল দিয়ে একটা ছবি তুললেন এবং সেটা আপনার মেমোরি কার্ডে জমা করে রাখলেন। এখন সেই ফাইলটা যতক্ষন না আপনি ডিলিট করছেন, সেটা সেখানেই স্থায়ী ভাবে থাকবে। এখানে মেমোরি কার্ড ও এক ধরনের রম হিসেবেই কাজ করছে।

RAM এবং ROM এর মধ্যে পার্থক্য কি?

RAM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Random Access MemoryROM এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Read Only Memory
র‌্যামে অস্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ এবং র‌্যাম থেকে ডেটা পঠন সম্ভব।রমে একবারই স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজনে যেকোন সময় সংরক্ষিত ডেটা পঠন সম্ভব।
RAM Read/write উভয় ক্রিয়াকলাপ করতে সক্ষমরম শুধুমাত্র রিডিং অপারেশন করতে সক্ষম।
র‍্যাম আকারে অনেক বড় এবং দামী।সে তুলনায় রম অনেক ছোট এবং দাম ও কম
র‍্যামে কাজ করে সিপিইউ এর ক্যাশ মেমোরি হিসেবে, যা আমাদের প্রাইমারি মেমোরি এবং এটা ছাড়া কোন পিসি বা ফোন চালানোই সম্ভব না।অন্যদিকে রম কাজ করে কিছু প্রোগ্রাম বা ডাটার স্টোরেজ হিসেবে।
চলমান প্রোগ্রাম এবং পুনঃ পুনঃ পরিবর্তনশীল ডেটা র‌্যামে সংরক্ষণ করা হয়।সহজে পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না এমন ডেটা ও প্রোগ্রাম রমে সংরক্ষণ করা হয়।
স্ট্যাটিক র‌্যাম, ডাইনামিক র‌্যাম ইত্যাদি র‌্যামের শ্রেণীবিভাগ।PROM, EPROM, EEPROM ইত্যাদি রমের শ্রেণীবিভাগ।
Write Your Comments
Back to top button